ছবি: সংগৃহীত
চলতি ২০২৫–২৬ কর বছরে ৩০ লাখেরও বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লাখ করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনবিআর বলছে, ই-রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর পর এটি কর প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তরে বড় সাফল্য। গত ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এনবিআরের ওয়েবসাইট (www.etaxnbr.gov.bd) থেকে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই করদাতারা উল্লেখযোগ্য সাড়া দিয়ে দ্রুতগতিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করছেন। এনবিআর জানায়, ই-রিটার্নের মধ্যে আগস্ট মাসে ২ লাখ ৫১ হাজার সাতশ ৮৪ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৩ লাখ ১ হাজার তিনশ ২ জন, অক্টোবর মাসে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬ জন, নভেম্বর মাসে ১০ লাখ ৪০ হাজার চারশ ৭২ জন এবং ডিসেম্বর মাসে অদ্যাবধি প্রায় ১০ লাখ করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত বছর একই সময়ে ১০ লাখ ২ হাজার দুইশ ৯৮ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। করদাতাদের সুবিধার জন্য সরকার ইতোমধ্যে রিটার্ন দাখিলের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। বর্ধিত সময়ের মধ্যে এ বছর ৪০ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করবেন বলে মনে করে এনবিআর।
এ বছর এনবিআর বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ, শারীরিকভাবে অসমর্থ, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ব্যতীত অন্য সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত করদাতারাও চাইলে অনলাইন পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। ই-রিটার্ন সিস্টেমে কোনো দলিল বা কাগজপত্র আপলোড না করেই আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য এন্ট্রি করে ঘরে বসে রিটার্ন দাখিল সম্ভব। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ, নগদ) মাধ্যমে কর পরিশোধ করে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা যাচ্ছে। বিদেশে অবস্থানরত করদাতারা পাসপোর্ট নম্বর, এনআইডি ও ই-মেইলসহ প্রয়োজনীয় তথ্য [email protected] এ পাঠালে তাদের ই-মেইলে OTP ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে।
এর মাধ্যমে তারা সহজেই রেজিস্ট্রেশন ও রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। করদাতাদের সহায়তায় এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১), অনলাইন অভিযোগ সুবিধা এবং সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু রেখেছে। পাশাপাশি করদাতা, কর আইনজীবী, সিএ, সিএমএ ও চার্টার্ড সেক্রেটারিদের ই-রিটার্ন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এনবিআর সব ব্যক্তিগত করদাতাকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এসজে
.png)
.png)
.png)



