ছবি: সংগৃহীত
লিওনেল মেসি আবারও প্রমাণ করলেন, বড় ম্যাচে তার মতো নির্ভরযোগ্য নায়ক আর নেই। তার জোড়া অ্যাসিস্টে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে ইন্টার মায়ামি।
শনিবার চেস স্টেডিয়ামে নিজেদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মায়ামির শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। ম্যাচের শুরুতেই রদ্রিগো ডি পলের নিখুঁত লম্বা পাস ধরে এগিয়ে যান তাদেও আলেন্দে।
তার ক্রস ভ্যাঙ্কুভারের ডিফেন্ডার এডিয়ের অকাম্পোর পায়ে লেগে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় মায়ামি।
তবে গোল হজমের পরই ম্যাচে ফিরে আসে ভ্যাঙ্কুভার। বিরতির আগে দু’বার মিয়ামি গোলরক্ষক রকো রিওস নোভোর দারুণ সেভে বেঁচে যায় দল। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি আরো বাড়ে।
ফাঁকা পোস্টে মেসির হেড অল্পের জন্য বাইরে গেলে বাঁচে ভ্যাঙ্কুভার, আর এরপর আলি আহমেদের শটে পোস্টে লেগে বল জালে গেলে সমতায় ফেরে ম্যাচ।
এর ঠিক পরেই ইমানুয়েল সাব্বির শট দপোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় মায়ামি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মেসিই পার্থক্য গড়ে দেন। এক চিরচেনা ক্ষুরধার পাসে তিনি খুঁজে নেন সতীর্থ রদ্রিগো ডি পলকে।
তিনি ঠাণ্ডা মাথায় বল পাঠান জালে। যোগ করা সময়ের ৯৬তম মিনিটে আবারও মেসির পাস ধরে গোল করেন তাদেও আলেন্দে, নিশ্চিত হয় মায়ামির ৩-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয়।
অভিজ্ঞ ত্রয়ীর বিদায়ি মুহূর্তে মেসির উপহার
এ ম্যাচটি ছিল শুধু ট্রফি জয়ের নয়, এটি ছিল মায়ামির দুই তারকা সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবার ক্যারিয়ারের বিদায়ি ম্যাচও। তাদের শেষ ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে তুলতেই যেন মেসির এ জাদুকরি পারফরম্যান্স।
মেসির ক্যারিয়ারের ২৬তম বড় ফাইনালে এটি তার ১৮তম শিরোপা জয়।
শুধু এই ফাইনালেই নয়, পুরো মৌসুম জুড়েই তিনি ছিলেন দুর্দান্ত, এমএলএসে তার ২৩তম অ্যাসিস্ট, যা এই মৌসুমের সেরা। শেষ ছয়টি হোম ম্যাচে তার গোল অবদান ১৫টি (৬ গোল, ৯ অ্যাসিস্ট)।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



