ছবি সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের বোকসবার্গে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। বিষাক্ত গ্যাসটি প্রাথমিকভাবে নাইট্রেট অক্সাইড বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিষাক্ত এ গ্যাস লিকের সাথে অবৈধ সোনার খনি খননের ঘটনা জড়িত থাকতে পারে বলে জানান জরুরী পরিষেবার একজন মুখপাত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে গ্যাস বিস্ফোরণের ধারণা করে জরুরি পরিষেবায় ফোন আসে। তবে পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়ায় যায় যে মৃত্যুগুলো বিস্ফোরণের কারণে নয় বরং এলাকায় "বিষাক্ত গ্যাস" লিক হওয়ার কারণে ঘটেছে।
জরুরী পরিষেবার এক মুখপাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা সন্দেহ করি যে এটি এলাকার অবৈধ খনির সাথে যুক্ত হতে পারে। কারণ জরুরী পরিষেবাগুলি ঘটনাস্থলে আসার পর গ্যাস সিলিন্ডারটি মূলত খালি ছিল"
সাধারণত অবৈধ খনি শ্রমিকরা বিষাক্ত নাইট্রেট অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে থাকেন। এটি স্থানীয়ভাবে ঝামা ঝামাস নামে পরিচিত। পরিত্যাক্ত খনি থেকে মাটি চুরি করে এনে— এই গ্যাসের মাধ্যমে মাটি থেকে সোনার ছোট ছোট দানা খুঁজে বের করা হয়।
দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং অপরাধ জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকায় বেআইনি সোনার খনি একটি চলমান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ওই এলাকা থেকে আরও মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে। আহত বা নিহতদের খুঁজে বের করতে রাতেই উদ্ধার অভিযান চলছিল।