ছবি: সংগৃহীত
তিন দফা দাবির প্রেক্ষিতে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, নৈতিকতা, মানবিকতা এবং শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
গত বুধবার থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। বর্তমানে তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১১। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষকেরা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে, প্রাথমিকের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুনের সই করা এক আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলমান আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সামছুদ্দীনসহ আরও চার সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছে, সেগুলো হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



