বারভিডার নেতাদের সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক (ছবি: বাংলাবার্তা)
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এণ্ড ডিলার্স এসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতাদের সাথে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মইনুল হাসানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয় নগরে বারভিডার সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার প্রবেশ পথে অযৌক্তিকভাবে যেন কোনো মামলার শিকার না হয়। একই সাথে বিআরটিএ এর গ্যারেজ টোকেন যৌক্তিকতার সাথে যেন দেখা হয়, আলোচনায় সে বিষয়ে কথা হয়।
বারভিডার নেতারা বলেন, আমদানিকৃত গাড়ি স্থান পরিবর্তনের জন্য বিআরটিএ গ্যারেজের নাম্বার ব্যবহারের প্রথা চালু কিংবা বৈধতা রয়েছে।
এছাড়াও মোংলা ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে গাড়িগুলো চুরিরোধে ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা জোড়দারসহ বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।
ডিসি ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ মোহাম্মদ মইনুল হাসান (অতিরিক্ত ডিআইজি) বারভিডার প্রস্তাবসমূহ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো হয়রানির শিকার হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, প্রত্যেক শোরুমের সামনে আগত ক্রেতা অথবা বিক্রেতার কোনো গাড়ি মূল সড়কে অবৈধ পার্কিং না করতে পারবে না। একইসাথে প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার স্বস্ব প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে হবে।
আলোচনা সভায় বারভিডা প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ মাইনুল হাসান।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বারভিডার সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মমদ শহীদুল ইসলাম এবং বারভিডার বিআরটিএ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রিয়াজ রহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, বারভিডা দীর্ঘ প্রায় ৪ দশক ধরে দেশে জাপানের মানসম্মত এবং পরিবেশ-বান্ধব গাড়ি আমদানির মাধ্যমে দেশের পরিবহন খাতে অবদান রেখে চলেছে। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বারভিডা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বিনিয়োগ এবং বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও বারভিডা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প, ওয়ার্কশপ এবং গাড়ি চালকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত।
বাংলাবার্তা/এসএ