ফটো কোলাজ: বাংলাবার্তা
স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আর আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর পুরো সিরিয়ায় এখন চলছে উৎসব-উল্লাস। রাজধানী দামেস্কের রাস্তায় রাস্তায় চলছে আনন্দ মিছিল। রাজধানীতে রাস্তায় নেমে এসেছেন লাখ লাখ মানুষ।
দেশটির বিভিন্ন স্থানে চলছে মিষ্টি বিতরণ। মানুষ উল্লাস প্রকাশ করছেন; পাশাপাশি বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এদিকে, দামেস্কের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বিমানবন্দরের সেবা কাজ ভেঙে পড়েছে।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়া ছেড়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ও বার্তা সংস্থাগুলো। সিরিয়ার দুই জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিদ্রোহী বাহিনী বলছে, ‘তারা এরই মধ্যে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েছে।’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের সংবাদ মিলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘বিদ্রোহীরা বারজেহ এলাকায় প্রবেশ করেছে। এখানে তীব্র লড়াই চলমান আছে।’
একজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, ‘শহরে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট খুবেই ধীর গতির এবং মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।’
রয়টার্স জানায়, তারা দুজনের সঙ্গে কথা বলেছে; যারা গুলির শব্দ শুনেছেন। তবে এই শব্দ কোন দিক থেকে আসছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত হোমস শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং রাজধানী ঘেরাও করে ফেলেছে। প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এইচটিএস-এর অভিযানে সিরিয়ার একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়।
দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ উড়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে সূত্র। ধারণা করা হচ্ছে, এই উড়োজাহাজে করেই বাশার আল-আসাদ এবং তার ঘনিষ্ঠরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
বাংলাবার্তা/এমআর
.png)
.png)
.png)



