ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসি। এ বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে আধা-সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। চিঠিতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এই নির্দেশনা অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক এবং ইসির তিনজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনসংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্ব আলোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এ ডিও লেটারের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে পরিপত্র জারি করবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই ইসির লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্যে একাধিক পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



