ছবি সংগৃহীত
ভারত: পশ্চিমবঙ্গে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে ব্যাপক সহিংসতা আর সংঘর্ষ।
এতে করে ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে অন্তত আট জন জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন তৃণমূল সদস্য, একজন বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের একজন করে কর্মী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সহিংস সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত দুটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা পিটিআই।
বিশেষ করে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। আর রাজ্যজুড়ে এসব সহিংসতার জন্য একে-অপরকে দোষারোপ করছে দলদুটি।
বার্তা সংস্থা টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীনরা।
এ ছাড়া কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারের সিতাইয়ে নির্বাচনের বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ব্যালট প্যাপারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ৮ই জুন ভোট ঘোষণার দিন থেকেই থেম থেমে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায় পশ্চিম বাংলায়। এসব সহিংসতায় এক কিশোরসহ ১৫ জন মারা গেছে বলছে পিটিআই।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজ্যের ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচন শুরু হয়।