ছবি: সংগৃহীত
হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া রবিবার বলেছেন, ইসরায়েল শনিবার হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে লক্ষ্য করে যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির ‘কার্যকারিতা’কে হুমকির মুখে ফেলছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে—যেখানে তিনি নির্বাসিত গাজা হামাস প্রধান হিসেবেও বক্তব্য রাখেন। আল-হাইয়া নিশ্চিত করেন, আগের দিন ইসরায়েলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সায়েদ নিহত হয়েছেন।
গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি ছিল হামাসের কোনো শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্য করে সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড।
আল-হাইয়া বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি ইসরায়েলের ধারাবাহিক লঙ্ঘন… এবং সায়েদসহ অন্যদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড চুক্তিটির কার্যকারিতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—বিশেষ করে প্রধান গ্যারান্টর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি, যাতে তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি সম্মান করতে এবং তাতে অটল থাকতে বাধ্য করেন।’
হামাস সূত্রগুলো সায়েদকে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে, ইজ্জেদ্দিন আল-হাদাদের পরেই তার অবস্থান। ইসরায়েলের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা যুদ্ধের সূচনা করেছিল, তার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সায়েদ।
আল-হাইয়া প্রস্তাবিত জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাহিনীর ভূমিকা গাজার সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা এবং দুই পক্ষকে আলাদা রাখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত… গাজার ভেতরে কোনো ভূমিকা বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ তাদের করা উচিত নয়।’
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই বাহিনী মোতায়েন। প্রথম ধাপের আওতায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে ১০ অক্টোবর একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যার অংশ হিসেবে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং ইসরায়েল আটক ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাজার জন্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী পরিকল্পনার লক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর দোহায় অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



