ছবি: সংগৃহীত
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় আদালত রায় দিয়েছেন—ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, তাঁর বোন শেখ রেহানাকে ৭ বছর এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছরের কারাদণ্ড। টিউলিপ সিদ্দিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে; অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হবে। শেখ রেহানাকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারক। মামলার অন্য ১৪ আসামির প্রতেক্যকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম রাজউকের পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ১৭ আসামির বিরুদ্ধে করা এই মামলায় আদালত জানান—শেখ রেহানাকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, তাঁর মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা দেওয়া হলো। মামলার ১৭ আসামির মধ্যে কেবল খুরশীদ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
এর আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় গত ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার ৭ বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এ মামালায় প্লট গ্রহিতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ রেহানাকে, দুই নাম্বার আসামি টিউলিপ ও শেখ হাসিনা তিন নাম্বার আসামি।
শেখ পরিবারের তিনজন ছাড়াও এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন– জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তাদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো—পূর্বাচলে তাঁর মা, ভাই ও বোনের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনি নিজের ‘বিশেষ প্রভাব’ ব্যবহার করে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। মামলার নথি অনুযায়ী, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন এ বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



