ছবি: সংগৃহীত
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেল আরও সাতটি পণ্য। এই পণ্যের মধ্যে রয়েছে মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, কালিগঞ্জের তোয়ালে, ফরিদপুরের পাট, মেহেরপুরের হিমসাগর, ফুলবাড়িয়ার লালচিনি, মেহেরপুরের মেহেরসাগর কলা এবং নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলার আয়োজনের সময় শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান সংশ্লিষ্টদের হাতে জিআই সনদ তুলে দেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃত পণ্যের সংখ্যা ৬২টিতে পৌঁছেছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে জিআই পণ্যে ব্যবহারের জন্য ‘জি আই ট্যাগ’ লোগো উন্মোচন করা হয়। জিআই স্বীকৃত পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানরা এই লোগো ব্যবহার করতে পারবেন।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক সপ্তাহব্যাপী এসএমই মেলার উদ্বোধন হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছেন। মেলার অংশ হিসেবে আজ ‘এসএমই শিল্প বিকাশে মেধাসম্পদ ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা নূর। সেমিনারে প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মূল প্রবন্ধে শিল্প সচিব বলেন, আমাদের এসএমই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেধাসম্পদ সৃষ্টি ছাড়া এসএমই খাতে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোক্তাদের মেধাসম্পদের বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে তা না হলে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে না। এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের খুব বেশি গবেষণা নেই। যদিও অনেক মিছিল মিটিং হচ্ছে কিন্তু আসলে কি হচ্ছে আমরা তা জানি না।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



