ছবি: সংগৃহীত
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক গুরুতর অভিযোগে জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে এবং সেই নৃশংসতা যেন 'লাইভ স্ট্রিমিং'-এর মাধ্যমে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অ্যামনেস্টির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসে।
সংস্থাটির মতে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের গণহত্যার সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। অ্যামনেস্টি বলছে, গাজার মানুষদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করা এবং তাদের খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত করা, একটি পূর্বপরিকল্পিত কৌশল হিসেবে ছিল।
এ ছাড়া, সংগঠনটি এও দাবি করছে যে, ইসরায়েল ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এর মাধ্যমে হামলা ও গণহত্যা প্রচার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই আক্রমণগুলোর দ্রুত সম্প্রচারকে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এর সঙ্গে তুলনা করে তারা মনে করে, যেন ইসরায়েল বিশ্ববাসীকে এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য দেখিয়ে করছে।
অ্যামনেস্টি মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড প্রতিবেদনটির ভূমিকা লিখে বলেন, ‘হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা সরাসরি বিশ্বকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দর্শক বানিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল শুধু মানুষ হত্যা করছে না, তারা গোটা পরিবার, প্রজন্ম, এবং সামাজিক কাঠামো ধ্বংস করছে, এবং এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোও ধ্বংস করা হচ্ছে।
এদিকে, ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলমান। অ্যামনেস্টির মতে, গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের সেসময় মানবিক সংকট তীব্রতর হয়েছে।
সংস্থাটির আরও দাবি, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহায়তায় পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। অ্যামনেস্টি বলছে, এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ অপরিহার্য এবং তা এখনই নেয়া প্রয়োজন।
অ্যামনেস্টি সারা বিশ্বের কাছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



