ছবি সংগৃহীত
চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর আর্থিক অনুদান দেয় সরকার। এই অনুদানের কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। যেটার প্রধানতম হলো প্রথম চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে ছবি নির্মাণ শেষ করতে হবে। কিন্তু বরাবরই এই কাগুজে নিয়মের কার্যকারিতা অদৃশ্য।
যেমন শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি ‘আজব ছেলে’। এটি ২০১৮ সালে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিল। পাঁচ বছর পর অবশেষে ছবিটি এলো মুক্তির আলোয়। তাও আবার কেবল একটি প্রেক্ষাগৃহে!
‘আজব ছেলে’ নির্মাণ করেছেন মানিক মানবিক। তিনিই জানিয়েছেন, স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় চলবে ছবিটি। দর্শকের আগ্রহ থাকলে দ্বিতীয় সপ্তাহে হলের সংখ্যা বাড়তে পারে।
ছবিটি নিয়ে নির্মাতা বলেছেন, ‘গল্পটা বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলি, এটা একটি মা ও ছেলের গল্প। ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে তার মায়ের একটা বিষয় অনুভব করার জন্য পুরোটা গল্পে হাঁটতে থাকে।’
নির্মাতার মতে, এই ধরনের ছবি সাধারণত হল পায় না। কেননা হল মালিকরা ধরে নেন, এসব ছবি দর্শক দেখে না। ফলে স্বল্প পরিসরে মুক্তি পেলেও বিভিন্ন উৎসবে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। যেমন আসন্ন ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে ‘আজব ছেলে’।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছোটগল্প ‘আজব ছেলে’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এটি। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিদওয়ান সিদ্দিকী। অন্যান্য চরিত্রে আছেন তৌকীর আহমেদ, সাজু খাদেম, তাহমিনা অথৈ প্রমুখ।
সম্প্রতি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আজব ছেলে’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবিটি দেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেছেন, ‘একজন লেখক কিছু লেখেন, সেটা একরকম। সেটাকে যখন চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়, তখন কিন্তু একদম ভিন্ন। আমার গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য ছিল যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা যেন অনুভব করতে পারে ওই সময়ে কত কী ঘটেছে; তার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট কষ্টের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ছবিটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে, সেই বিষয়টি নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ‘মেঘনা কন্যা’ নামের একটি ছবিও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে কয়েক দিন আগে ছবির নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী এর মুক্তি স্থগিত করেন।