ছবি: সংগৃহীত
২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির পরীক্ষায় ৬৬.৫৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এক লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ হাজার ৬৪২ জন পাস করেছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্রের ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর মোট আবেদনকারী ছিলেন এক লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং নারী ৭৩ হাজার ৬০৪ জন।
সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে মোট ৫ হাজার ৬৪৫টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সের জন্য ৫ হাজার ১০০টি এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৫৪৫টি আসন বরাদ্দ আছে। ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার জিপিএ থেকে পাওয়া স্কোর যোগ করে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৬৪৫ প্রার্থীকে এসব আসনের বিপরীতে নির্বাচিত করা হয়েছে।
পরীক্ষায় ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, যা মোট আবেদনকারীর ১.৭৯ শতাংশ। এছাড়া, অনিয়মের কারণে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ১২৮ জন, যা মোট পাসের ৩৮.১৩ শতাংশ, এবং নারী ৫০ হাজার ৫১৪ জন, যা ৬১.৮৭ শতাংশ। সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এবং ৮টি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে নারী ৩ হাজার ৬০৩ জন (৬৩.৮০ শতাংশ) এবং পুরুষ ২ হাজার ৪২ জন (৩৬.২০ শতাংশ)।
অন্যদিকে, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিটে মোট ৭ হাজার ৩৬১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে এমবিবিএস কোর্সের জন্য ৬ হাজারটি এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ১ হাজার ৩৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করবেন, এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রণীত এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা–২০২৬ অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



