বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৬ ১৪৩২

বাংলা বার্তা || Bangla Barta

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ?

ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক ধরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এক সময়ের ‘দারিদ্র্য, খাদ্য ঘাটতি, বৈরী প্রতিবেশসহ নানা সমস্যা নিয়ে শুরু করা দেশ আজ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স ও রফতানিতে অনেকটা এগিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর মাত্র ১৮ ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। চুয়ান্ন বছর আগে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে সবার ছিল নানামুখী সংশয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বলেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলছে দেশ। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা, বেড়েছে দেশের রিজার্ভ, রফতানি ও প্রবাসী আয়।
 
যেভাবে গড়ে উঠেছে উদ্যোক্তা শ্রেণি 

১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। তখন পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, যার নেতৃত্বে এই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে দেশে মাত্র ৩১৩টি কারখানা কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়। নব্বইয়ের দশকের আগপর্যন্ত শিল্পখাত তেমনভাবে গড়ে উঠতে পারেনি।
 
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ব্যয় কাটছাঁটে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ কমছে, স্থবিরতায় পড়বে অর্থনীতি!
 
তবে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হয়। সরকারের নীতি ও সহায়তা উদ্যোগের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে একটি উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রণোদনা যেমন: কর অবকাশ, ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য করা এবং রফতানিতে নগদ সহায়তা নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জুগিয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপিত হয়। বিশেষ করে পোশাক শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি রড-সিমেন্ট, ওষুধ এবং ভোগ্যপণ্য খাতেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ একের পর এক আসতে থাকে।
 
উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে ওঠার ফলে লাখ লাখ অদক্ষ ও আধা-দক্ষ নারী ও পুরুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গত তিন দশকে মোবাইল ফোন, পরিবহন, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেবা খাতেও উল্লেখযোগ্য বিকাশ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৯ সালের কলকারখানা সম্পর্কিত জরিপ অনুযায়ী, সারা দেশে মোট ৪৬ হাজার ২৯১টি কলকারখানা রয়েছে।
 
যেভাবে গঠন হয়েছিল দেশের রিজার্ভ

২০২১ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রিজার্ভ গড়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ শুরু করেছিল মাত্র ১৮ ডলার দিয়ে। পাকিস্তানিরা চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকা অফিসে রেখে গিয়েছিল ওই ১৮ ডলার। ওই সংকটের সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। একইসঙ্গে সাহায্য করেছিল সুইডেন ও কানাডা।
 
এই দুই দেশ বাংলাদেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ করতে দিয়েছিল নগদ ডলার। আর টাকা ছাপানোর যোগ্যতার পরিমাপক হিসেবে দিয়েছিল স্বর্ণ। বর্তমান অবস্থানে রিজার্ভকে টেনে আনতে রেমিট্যান্স ও পোশাক রফতানিকে ক্রেডিট দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।
 
সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘দুটি বিষয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আজকের অবস্থানে আসতে সাহায্য করেছে। একটি হচ্ছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া লাখ লাখ বাংলাদেশি যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের জন্য পাঠিয়েছেন, সেটা অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। আরেকটি হলো তৈরি পোশাক শিল্প। বাংলাদেশ এখন চীনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক। এটাও এক বিরাট সাফল্য। বাংলাদেশে যে একদিন এরকম কিছু ঘটবে, এটা তো আমরা কল্পনাই করতে পারিনি।’
 
বর্তমানে দেশের রিজার্ভ কত?

বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১৮৯০ দশমিক ০৭ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৭২২৪ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
প্রতিবছরই বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

স্বাধীনতার পর থেকে বিদেশে গিয়ে কাজ করা বাংলাদেশিরা শুধু দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহই নিশ্চিত করেননি; বরং রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ ও জ্ঞানভিত্তিক অবদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলেছেন।
 
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬-২০২৩ সাল পর্যন্ত বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৭ জন বাংলাদেশির। এ সময়কালে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৯৭১৩৮.১৬ মিলিয়ন ডলার।
 
বিগত কয়েক বছরে দেশের রেমিট্যান্সে দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবাণতা। বিশেষ করে ২০২৪ সালের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১৪৫২.৩০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস এবং মোট রিজার্ভের বড় অংশকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।
 
মাথাপিছু আয় বেড়েছে

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ মার্কিন ডলারের সমান। সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলার। তাতে দেখা যায়, ৫৪ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ।
 
জিডিপি প্রবৃদ্ধি

১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ছিল ৪ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী চলতি মূল্যে জিডিপির আকার ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত পাঁচ দশকে দেশের জিডিপির আকার বেড়েছে বহুগুণ। আর বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি।
 
তৈরি পোশাক রফতানি

বাংলাদেশ থেকে প্রথম তৈরি পোশাক রফতানি করে রিয়াজ গার্মেন্টস। ১৯৭৮ সালের ২৮ জুলাই মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে মাত্র ১০ হাজার পিস শার্ট রফতানি করেন। ক্রেতা ছিলেন ফরাসি হ্যান্ডলার ফ্রঁস। চালানের মোট মূল্য ফরাসি মুদ্রায় ছিল মাত্র ১৩ মিলিয়ন ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
 
আর বর্তমানে তৈরি পোশাক বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল শিল্প খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ আসে এই খাত থেকে। তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বিদেশে পোশাক রফতানি করে প্রতিবছর যেমন বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের।
 
এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ সদস্যদেশগুলোকে উন্নয়নশীল ও উন্নত-এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করে। তাদের বিবেচনায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলেও এখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় আছে। আগামী বছরের ২৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের কথা রয়েছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) উন্নয়ন নীতিমালা বিষয়ক কমিটির (সিডিপি) পর্যালোচনায়, ২০১৮ ও ২০২১ সালে দুই দফায় এলডিসি উত্তরণের সব শর্ত পূরণ করে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
 
তবে এখনই এলডিসি উত্তরণের পক্ষে নন ব্যবসায়ীরা। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘সাবলীলভাবে এলডিসি উত্তরণের জন্য আরও ৫ থেকে ৬ বছর সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের কাছে। সুষ্ঠু ট্রানজিশনের জন্য যেভাবে বন্দর অবকাঠামো প্রস্তুত থাকা দরকার, বাস্তবে তা এখনও হয়নি। ইউরোপের সবচেয়ে বড় বাজার জিএসপি প্লাসে প্রবেশ করতে হলে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ আরও শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু এই খাতে আমাদের প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি লাইন নেই।’
 
এদিকে, অর্থনীতিবিদদের অনেকেই আগামী বছরেই এলডিসি উত্তরণ চান। তাদের মতে, উত্তরণের ফলে উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, যা একদিকে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করবে, অন্যদিকে তৈরি পোশাকনির্ভর রফতানির পাশাপাশি বহুমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক বলেন, ‘দেশের প্রায় সব সূচক এখন নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তাই আগে আমাদের মর্যাদা বাড়ানো জরুরি। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে অর্থনীতি বাধ্য হবে বহুমুখীকরণে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
 
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিজয়ের পর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে; এটি দেশের মানুষের সম্মিলিত সাফল্য। খুব দ্রুতই দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হবে। তবে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ বহু বিশেষ সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখন থেকেই প্রস্তুতি জরুরি।
 
দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে?

রফতানিমুখী কর্মকাণ্ড, রেমিট্যান্স নির্ভরতা এবং ধীরে ধীরে বহুমুখী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলে ও নানা অনিশ্চয়তা ও সম্ভাবনা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। তবে এই অগ্রগতি ঠিক কতটুকু? বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশ এখনও নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ৫৪ বছরে এসেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক ও কাঠামোগত সংকটের মুখে। কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হলে বা বিলম্বিত হলে দেশের ঋণ নির্ভরতা আরও বাড়বে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে এবং বৈষম্য বাড়বে। 
 
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতের অভাবনীয় উন্নতিতে অর্থনীতির আকার বেড়েছে। নারী শিক্ষায়ও দক্ষিণ এশিয়ায় অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। নারী উদ্যোক্তাও তৈরি হয়েছে অনেক।

সব মিলিয়ে ৫৪ বছরে অর্জন কম না হলেও, এই অর্জন আরও বেশি সম্ভব হতো বলে মনে করেন ড. মাহফুজ কবির। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা, মূল্যস্ফীতি দুর্নীতি-অস্বচ্ছতাসহ নানা কারণে এই অর্জন খুব বেশি ত্বরান্বিত হতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।

ড. কবির বলেন, বর্তমানে নারীশিক্ষায় নানা ধরনের বাধা আসছে। সামাজিক,  অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সামনে এগুলো উপেক্ষা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
 
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সম্প্রতি সিপিডির এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অর্থনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে–এটি যেমন সত্যি; তেমনি সত্যি হলো, এটি আরও খারাপ হতে পারত। অর্থনীতির সামনে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের সংকেত আছে। তবে নেতিবাচক দিকটি বেশি ভারী। রেমিট্যান্সপ্রবাহ নতুন উচ্চতায়, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারকে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে। তবে অবৈধ আর্থিক প্রবাহ রোধ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজেট ঘাটতি অর্থনীতিতে চাপ বাড়ার দিকে ইঙ্গিত করছে। রফতানি প্রবৃদ্ধি ধীর, বিশেষত ইউরোপনির্ভর বাজারে প্রতিযোগিতা কমছে।’
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ সম্প্রতি সিপিডির এক অনুষ্ঠানে বলেন, লুটপাটভিত্তিক অর্থনীতি ভেঙে ক্ষমতার ভারসাম্য না আনলে কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না। দেশ স্বাধীনের পর এ পর্যন্ত যেভাবে সম্পদ এক হাত থেকে আরেক হাতে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাতে উৎপাদনভিত্তিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যতদিন সম্পদ পুনর্বণ্টনের চক্র শেষ না হবে, টেকসই উন্নয়ন অধরাই থাকবে। নানান নীতি, পরিকল্পনা ও সংস্কার পদক্ষেপ নেয়া হলেও কোনোটিই টেকসই হয়নি। কারণ, ক্ষমতার অসম বণ্টন, আর্থিক সুযোগের দখল ও সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোর কেন্দ্রীভবন অর্থনীতিকে আরও ভঙ্গুর করেছে। বিনিয়োগ পরিবেশ মন্থর ও উদ্দীপনাহীন। তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স ছাড়া অন্য কোনো সম্ভাবনাময় খাত এখনও জাতীয় পর্যায়ে উঠতে পারেনি।
 
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজস্ব সংকট, ঋণ পরিশোধের চাপ ও নীতিগত দুর্বলতায় এক ঝুঁকিপূর্ণ পথে হাঁটছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশ ঋণের ফাঁদে পড়বে।
 
নির্বাচিত সরকারের কাছে প্রত্যাশা

দেশের ভবিষ্যৎ এখন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পরবর্তী সরকারের নীতি-সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে নীতিগত সংস্কার কতটুকু ধারাবাহিকভাবে এগোবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া কতটা বাধাহীনভাবে সম্পন্ন হবে–তার ওপর।

ড. মাহফুজ কবির বলেন, দেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে। নতুন নির্বাচিত সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেক। দেশ সংস্কারে ও উন্নতিতে তাদেরকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
 
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে নীতিমালা বাস্তবায়ন, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজয়ের ৫৪ বছরে এসে জনগণের প্রত্যাশা–আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নতুন সরকার এই গুণগত পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশকে সঠিক পথে রাখতে জনগণকেও নীতিনির্ধারকদের ওপর ইতিবাচক চাপ বজায় রাখতে হবে।’

এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে হলে বাজার বৈচিত্র্যকরণ ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণ করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নতুন বাজারে প্রবেশ করতে পারলে রফতানি আয়ের পরিধি বাড়বে পাশাপাশি শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি বাড়িয়ে রেমিট্যান্স বাড়ানোর প্রতি জোর দিতে হবে।

বাংলাবার্তা/এমএইচ

Right Side Advertisement
Right Side Advertisement
Middle Advertisement
Middle Advertisement Mobile

শীর্ষ সংবাদ:

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে যা আছে ‘বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ’ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করলো সরকার চীন নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট গণভোট নির্বাচনের দিন বা আগে, সংসদই হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বাতিল হচ্ছে ১২৭ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কতটা প্রস্তুত প্রশাসন? হাইকোর্টের রায়ে মা পেল ২ মেয়ে, বাবা এক মেয়ে পবিত্র শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়ায় মাশরাফীর পথ সভা বিএনপি ২১ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ১১ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তথ্য অসত্য : আনিসুল হক আখাউড়ায় স্কুলের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ ও বিদায় সংবর্ধনা সন্তান হারানোর ব্যথাটা কত কষ্টের পরিবারই জানে : হাইকোর্ট কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে এক শিক্ষার্থী নিহত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ইশতেহার : নাছিম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস গড়লেন টাইগারদেরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন : রিট শুনবেন না হাইকোর্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোট বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ রিমির আবেদনে সাড়া দেননি চেম্বার আদালত সাতদিন আদালত বর্জনের ঘোষণা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন দাখিল হয়নি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মন্দিরে ভোট চাইলেন মমতাজ রাবিতে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন জনগণের প্রতিরোধে সরকার টিকবে না বিএনপি আসলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো : কাদের বিএনপি নির্বাচনে আসেনা নিজেদের কারণে : শেখ পরশ নির্বাচনি আচারণবিধি লংঘন, মাশরাফিকে জরিমানা সাকিবকে সতর্ক করলো ইসি প্রথমবারের মত কূটনীতিকদের অগ্রগতি জানাবে ইসি ইলেকশন অবজারভার কনসোর্টিয়ামের আত্মপ্রকাশ বিরোধী নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড অব্যাহত নবীজীর রওজা শরিফে বছরে একবারের বেশি যাওয়া যাবে না ঝিনাইদহে বড়দিন উদযাপন ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক টুকুর নির্দেশনায় রেলপথে নাশকতা: সিটিটিসি প্রধান ভোটকেন্দ্রে যেতে জোর জবরদস্তি করা যাবে না : ডিএমপি কমিশনার উত্তরায় ট্রেন লাইনচ্যুত ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা ফেনীতে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু সীমান্ত সড়কে ট্রাক খাদে পড়ে হেলপার নিহত মঙ্গল-বৃহস্পতিবার বিএনপির গণসংযোগ ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির খালে অবৈধভাবে মাছ চাষ বন্ধে দ্রুতই অভিযান: মেয়র আতিক বিএনপির আলতাফসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৮ ডিসেম্বর ন্যান্সির বাসায় চুরির মামলায় প্রতিবেদন দাখিল হয়নি খুলনায় ১২ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ ঝিনাইদহের নৌকার প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর কারো প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি: ইসি আলমগীর রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত তারিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত তারিকুল ইসলাম অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি: কাদের ফালুর অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি রেল ও সড়কপথ নিরাপদ রাখতে ২৫০০ আনসার গাজায় সময়ের সাথে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি ফেনীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে দেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন খালেদার কেবিনে অজ্ঞাত যুবকের প্রবেশচেষ্টা, রিজভীর উদ্বেগ অবরোধ সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত আ. লীগের প্রার্থীদের হুশিয়ার করলেন ওবায়দুল কাদের অসহযোগের প্রথম দিনেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে: রিজভী বেনাপোলে ফাতেমা হত্যায় শ্বশুর-শাশুড়ি আটক আলজেরিয়ায় দুর্ঘটনায় গোলরক্ষক ও কোচ নিহত সন্ত্রাসীসহ ওয়ারেন্টভুক্তদের গ্রেফতার: পুলিশ সদর দপ্তর নির্বাচনে আমার উপর আক্রমণ হতেই পারে : হিরো আলম সাতক্ষীরায় সভা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ বিরোধী দলের ২ জনসহ চারজন শনাক্ত: র‍্যাব বিএনপি-জামায়াতের ১২১ নেতাকর্মীর দণ্ড, খালাস ৪৬ জন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে : ইসি রাশেদা বিএনপির ‘অসহযোগ আন্দোলন’ অতিরিক্ত সমস্যা: ডিএমপি কমিশনার আমারা বলতে চাই নির্বাচনে যাচ্ছি : জাপা মহাসচিব ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স : ইসি আহসান হাবিব পেষ্ট কন্ট্রোল প্রয়োগের ভুল তথ্যের কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ট্যাক্স, বিল বাকিদের আদায়ের হুশিয়ারি: কাদের মেট্রোরেলে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সময়সূচি প্রকাশ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড ট্রেনে আগুন : নাশকতাকারীদের নাম পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ বিজয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই: হানিফ শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন, শুনানি ২ জানুয়ারি প্রার্থিতা বৈধ পেতে সাদিকের শুনানি ২ জানুয়ারি ফেনীতে নৌকার মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রিজভীর লিফলেট বিতরণ বিশ্বে ফের বাড়ছে করোনার আতঙ্ক নির্বাচনে আমাদের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই রোমানিয়াতে বাংলাদেশিসহ আটক ১০৭ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পর্বের ফল প্রকাশ মানুষের সেবা করব, অভিনয় চালিয়ে যাব : মাহিয়া মাহি স্মার্ট ও সুশৃঙ্খল সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে : বিজিবি ডিজি খালেদা জিয়ার দুই মামলায় চার্জ গঠন শুনানির নতুন তারিখ অপহরণ করে ৯ লাখ টাকা আদায় করেন ২ এসআই গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভ্যান চালকের ঝিনাইদহে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করদাতা সম্মাননা পেলেন জাহেদ ইকবাল ৩ দিনের গণসংযোগ, ১ দিনের অবরোধ ঘোষণা বিএনপির ভোটে আসার আর সুযোগ নেই : ইসি আলমগীর বেড়েই চলেছে চীনে ভূমিকম্পের মৃত্যুর সংখ্যা এবার বিএনপির ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক গাজীপুরে জাল টাকার নোটসহ চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আমানসহ ২১৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু ৪ জনের মৃত্যুতে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি পেলো নতুন সভাপতি-সম্পাদক আগুনে মানুষ হত্যাকারীদের মনুষ্যত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রধান বিচারপতির প্রার্থিতা ফেরাতে ফের আদালতে সাদিক শাহজালালে নারী যাত্রীর কাছে মিললো ৮ কেজি সোনা বেনাপোলে শ্রমিকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আহত ৫ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু পার্ক উদ্বোধন নাশকতায় ছাড় পাবে না কেউ : র‍্যাব মহাপরিচালক জেলে ২০ হাজার নয়, ১১ হাজার নেতাকর্মী বন্দী: কাদের সরকারের পরিকল্পনায় ট্রেনে আগুন’ রাবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি জনপ্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক দল : নিজাম উদ্দিন হরিণাকুন্ডুতে পুকুরে মিলল বৃদ্ধার লাশ ঝিনাইদহে নির্বাচনী সহিংসতা, আহত ২ বিএনপি মাথা মুন্ডুহীন জনপ্রত্যাখ্যাত দল: নিজাম হাজারী অনলাইন গেমের ফাঁদে কিশোরীদের ব্লাকমেইল, গ্রেফতার প্রতারক হাজারীবাগে জমি দখল করতে গিয়ে হামলার অভিযোগ ‘জনগণ তাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফেরত চায়’ সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আনিছুরের জানাযায় আইজিপি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমের জামিন স্থগিত নির্বাচন করতে পারছেন না সাদিক আবদুল্লাহ ‘সরকারের নাশকতার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানো হচ্ছে’ ১০৪ বার পেছাল সাগর-রুনির প্রতিবেদন কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বাসে আগুন সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন ট্রেনে আগুনে ৪ জনের মৃত্যু; দুজনের পরিচয় মিলেছে সোহেলের নেতৃত্বে শান্তিনগর-কাকরাইলে মিছিল হরতালকারীরাই রেলে আগুন দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার বেনাপোলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী পলাতক প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগের শামীম হক রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল ট্রেনে আগুন সুপরিকল্পিত নাশকতা: বিএনপি ট্রেনে আগুন সুপরিকল্পিত নাশকতা: বিএনপি রিট খারিজ, প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না শাম্মী আহমেদও ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণের নির্দেশ আজ সুপ্রিম কোর্ট দিবস হাইকোর্টেও ব্যর্থতা : প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না আ.লীগের শামীম কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে আজ বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক সংঘর্ষের কবলে বাইডেনের বহরের গাড়ি ১৫ দিনের ছুটিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৯.৭ ডিগ্রি অগ্নিসন্ত্রাস করে জনগণকে জয় করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাসহ আট আইনজীবীর জামিন বিএনপি-জামায়াতের ২৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড রাঙ্গামাটিতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে জাপা’র হারুন ফেনীতে ২৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১ গাজীপুরে রেললাইন নাশকতার ঘটনায় সাতজন গ্রেপ্তার আচরণবিধি লঙ্ঘনে ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধির সাথে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি বেনাপোলে ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ হিরো আলমের ওপর হামলার প্রতিবেদন ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বিএনপির মারা গেছেন কুয়েতের আমির সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ফেনীতে ৪০০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ঝিনাইদহে গোয়াল ঘরে আগুন, দগ্ধ ৩টি গরু রাবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল বিজয় মিছিলে নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড করা যাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী ইসির আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ জন শরিকদের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না আ. লীগ : কাদের ইরানে পুলিশ স্টেশনে হামলায় নিহত ১১ নাশকতা এড়াতে নতুন কৌশলে চলবে ট্রেন চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, জনদুর্ভোগ চরমে বরিশাল-৫ আসনে জাহিদের প্রার্থীতা বৈধ, বাদ পড়লেন সাদিক জামালপুরে সড়কে প্রাণ গেল দুই ব্যবসায়ীর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব থাকায় শাম্মীর প্রার্থীতা বাতিল ফরিদপুর-৩ আসনে বাদ পড়লেন শামীম, টিকে রইলেন আজাদ মেসির জার্সি ৮৫ কোটি টাকায় বিক্রি আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি হ্যালো স্যার,একটু দরজাটা খুলবেন! চাঁদ দেখা গেছে জমাদিউস সানি শুরু বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ছোট্ট সোনামণির শ্রদ্ধা গাজীপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় মামলা ভবিষ্যতেও দুই দেশের বন্ধুত্ব অব্যাহত থাকবে : ভারতীয় হাইকমিশনার ঝিনাইদহে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ ফেনীতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই : প্রধানমন্ত্রী নৌকার সালামের প্রার্থীতা বাতিল পাঁচ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৫৭ জন কাঁচা খেজুরের রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ ২০২৪ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন একদিন পর রেল চলাচল শুরু সাংবাদিকদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা : আসামি কারাগারে ১৮ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি ঢাকায় একদিনে ২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ইসিতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি, আটক ২ ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন মজনুসহ ১৩ জনের আড়াই বছরের কারাদণ্ড, খালাস ৫ বিএনপি নেতা নীরবসহ ৩৪ জনের কারাদণ্ড পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি মির্জা ফখরুলের জামিনের শুনানি রোববার নির্বাচন নয়, বানরের পিঠে ভাগাভাগি হচ্ছে : মইন খান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আখতারুজ্জামানের প্রার্থীতা বৈধ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি টেক ট্রিপের আত্নপ্রকাশ সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে : ওবায়দুল কাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বিএনপির আন্দোলন মানুষ হত্যা করা: প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ডিপজল মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ বাজারে সরবরাহ বেড়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ, দামও কম ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় প্রথমবার টিএসসিতে থামল মেট্রোরেল স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে : প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভে যোগ হবে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি : বাংলাদেশ ব্যাংক শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে নিহতের পরিবার : রেলওয়ে মহাপরিচালক গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা বিএনপির নাশকতা: কাদের নুরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি যশোর-৪ আসনে আ.লীগ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট শাহজালালে ৭ ঘণ্টা ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ ধানমন্ডিতে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা কমলাপুরে ইশরাকের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল বাড়বে শীত,আসছে শৈত্যপ্রবাহ ২০ লাখ টাকার লোভে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা গাজীপুরে লাইনচ্যুত ট্রেন,নিহত ১,আহত ৭ থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপির কড়া সতর্কতা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মাহিয়া মাহির শ্রদ্ধা পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে: আইজিপি আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : কাদের বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা মামলার তারিখ পেছাল প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা : আপিল বিভাগে নিপুণের জামিন বহাল হার্ট ব্লক ও মানসিক অবস্থা ধানমন্ডিতে ছাত্রদলের মিছিল খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ সদস্য নিহত সকালের শুরুতেই গুলিস্তানে বাসে আগুন ফেনীতে মূসক সম্মাননা পেলেন ৯ প্রতিষ্ঠান বঙ্গভবনে শাকিবের সঙ্গে মার্কিন নায়িকা বিপুল সম্পদে, তবুও স্বপদে বহাল দুদকের মাহবুবুল আলম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বৈধ: হাইকোর্ট ইতালিতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে আপিল শুনানি বায়ূ দূষণের শীর্ষে ঢাকা আওয়ামী লীগের যৌথ সভা আজ গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩০০ ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই ভোটার নয় : ইসি আওয়ামী লীগে যোগদিলেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন আজ, থাকছে বাংলাদেশও অর্ধবেলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কাজ বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় নিহত ৬ আইল্যান্ডে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২ ভারত থেকে এলো ৭৪৩ টন পেঁয়াজ মানবাধিকার দিবসে চলছে বিএনপির মানববন্ধন ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা কমিশনার ও এসপিদের প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির