ছবি: সংগৃহীত
দেশের বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ হিসেবে বহাল রেখে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই রায়ের ফলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল হল। জনগণ এখন নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারবেন। রায় ঘোষণার সময় আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষ কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। এ রায়ের মাধ্যমে সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অন্তর্বর্তী সরকারে অধীনে। চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে। গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ২১ অক্টোবর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেন, যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাও বিলুপ্ত হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগেই সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পৃথকভাবে পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা দেন। অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও এ সংক্রান্ত আবেদন করেন। এছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও একই আবেদন করেন। পৃথক চারটি আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ নতুন করে আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



