সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ছবি: বাংলাবার্তা)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ও যৌক্তিক ছিল। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখানের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করেছে, বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান গণআকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। গণমানুষের এই নীরব প্রতিবাদ বিএনপির রাজনীতির সফলতা।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি জনগণকে দিয়েছি। আমরা আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি একেক সময়ে একেক দিকে রূপ নেয়। আপনারা অপেক্ষা করেন নিশ্চয় আপনারা আমাদের ভবিষ্য কর্মপন্থ কী, সেটা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইলেকশনের নামে সিলেকশন নাটক মঞ্চস্থ করতে আওয়ামী লীগের যে সহিংসতা-নাশকতা, প্রকৃত কোনো বিরোধী দলের প্রার্থী না থাকার পরও যে অনিয়ম-কারচুপি, ভোটার উপস্থিতি বাড়িয়ে দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও রাষ্ট্রযন্ত্রের যে অদ্ভুত অবিশ্বাস্য দাবি এবং এসব ঘটনাপ্রবাহেরর প্রেক্ষিতে যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমালোচনা-হতাশা সেখানেই আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় নিহিত।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৫ বছর ক্ষমত কুক্ষিগত রেখে দলীয় সাংগঠনিক প্রচেষ্টা ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ক্ষমতা তথা অবৈধ বল প্রয়োগ করেও ন্যুনতম ভোটার জমায়েতে অক্ষম আওয়ামী লীগ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দ্বারা ঘৃণাভরে প্রত্যাখাত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়: কাদের
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অবস্থা এবং মূল্যস্ফীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ শেখ হাসিনার অপশাসন থেকে মুক্তি চায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ। তাদের প্রত্যাশা বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে জনবিদ্বেষী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে এবং দেশে আবারও সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, বিজন কান্তি সরকার, তাহসিনা রুশদীর লুনা, মইনুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুকুর রহমান মাশুক, সেলিম রেজা হাবিব ও রিয়াজ উদ্দিন নসুসহ আরও অনেকে।
বাংলাবার্তা/এসএ/এসকে