ছবি: সংগৃহীত
বয়স কেবল মাত্র ৩৭। পারফম্যান্সটাও যে খারাপ সেটিও বলার উপায় নেই। কিন্তু তারপরও এই বয়সেই অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছেন টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে। দুই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবারে ঘোষণা এলো তার বাকি থাকা টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নেওয়ার।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ওয়ার্নারের শেষ কোনো টুর্নামেন্ট।
ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন ওয়ার্নার? জবাবে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘এখন তরুণদের মেলে ধরার সময়। আমাদের প্রচুর প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। আমার ওখানেই (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) শেষ।’
পারফম্যান্সের পিক আওয়ারে ক্যারিয়ারের একই কারণে ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়েছিলেন সাবেক অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।
ওয়ার্নার, ফিঞ্চরা যেটি করতে পেরেছেন সেটি কল্পনাতেও আনতে পারেন না বোধহয় বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। পারফর্ম করুক আর নাই করুক, জায়গা ধরে রেখে বসে থাকতে হবে তাদের।
নিজ ইচ্ছাতে তো অবসরে যেতেই চায় না তারা, জোর করে পারফরম্যান্সের দোহাই দিয়ে ইশারা ইঙ্গিতে বিদায় নেওয়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলতে থাকলেও সেখানে তাদের থাকে না কোনো ভ্রুক্ষেপ
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশারাফী বিন মোর্ত্তজা লম্বা সময় ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তেহেক দূরে থাকলে এখনও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সাহসটাই বোধহয় করতে পারেননি।
তামিম ইকবাল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে নেননি অবসর। একই অবস্থা দলে থাকা বাকি দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের। অবসর সেটি আবার কি জিনিস?
সিনিয়রদের জায়গা ধরে রাখার কারণে দলে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের জায়গা করে দিতে হিমশিম খেতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। যে কারণে তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার জায়গাটা বাংলাদেশ জাতীয় দলে যে খুবই কম, সেটি বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন পরে না।
যেখানে সিনিয়ররা নিজেদের চিন্তাতেই ব্যস্ত সেখানে তরুণদের কথা, দলের উন্নতির কথা ভাবার সময়টা কোথায়?
এতো গেল বর্তমান সময়কার তারকা ক্রিকেটারদের ইতিবৃত্ত। লম্বা সময় ধরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা ক্রিকেটাররাও এ দেশে অবসর না নিয়ে স্বপ্ন দেখে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে মাঠে নামার। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের ভেতর এমন নজির দেখা যায় না আর।
মোহাম্মদ আশরাফুলের কথাতেই আশা যাক। ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর এই বয়সে এসেওএখনও স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামার।
বার্তাবাংলা/এনএ