সংগৃহীত ছবি
যশোর: যশোরে স্কুলশিক্ষিকাকে লাথি ও ছাত্রীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ট্রেনের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় ও রেল স্টেশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষিকা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোগামী বেতনা ট্রেন এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার অভয়নগর উপজেলার আহম্মদ আলী সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
তিনি জানান, যশোরের ঝিকরগাছায় স্কাউটের পুস্প ক্যাম্পের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি স্কুলের দুই ছাত্রীসহ সকাল সাড়ে ৬ টায় নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে যান। বেনাপোলগামী বেতনা ট্রেনে ব্যাপক ভিড়ের কারণে পরিচালকের কক্ষে উঠতে চাওয়ায় ট্রেন পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই স্কুলশিক্ষিকাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে তার মুখে লাথি মারেন। এতে তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক ছাত্রী ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ট্রেনের পরিচালক। এতে ছাত্রীটিও আহত হয়।
শিক্ষিকা আরও জানান, তিনি প্রথমে ঘটনাটি নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী স্টেশনমাস্টার অনুপ কুমার মন্ডলকে জানান। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করেন। এরপর নওয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার ও অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
নওয়াপাড়ার সহকারী স্টেশনমাস্টার অনুপ কুমার মন্ডল বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে নওয়াপাড়ায় পৌঁছায়। ট্রেনটি দুই মিনিট বিরতি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রী বেশি থাকায় ট্রেনটি ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রেনটির পরিচালকের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষিকা লাথি ও মারধরের অভিযোগ করেন। এ সময় তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। এরপর ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়।
ট্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন লাথি মারার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিড়ের মধ্যে এক মহিলা গার্ডরুমে উঠতে চাইলে আমি তাকে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে নাকে লেগে তিনি আহত হন।
নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’